শিরোনাম: |
ইহুদিবাদী যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই কি ইরানে আগ্রাসী হামলা চালাবে?
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() মার্কিন সোনারা এখন সমস্ত প্রস্তুতি শেষে অপেক্ষা করছে শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুমতির। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১,১০০ ফুট উচ্চতার পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড রওনা হয়েছে ইরানের দিকে। ইরানে আগ বাড়িয়ে হামলা চালাতে গিয়ে যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে ইসরায়েল তখনি পরম মিত্রের মত এগিয়ে এসেছে আমেরিকা। আর আমাদের প্রতিবেশি ভারতের কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলের পক্ষে। ইরানও কিন্তু একা নয়, তাদের পাশে রয়েছে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার মত পরাশক্তি। ইতিমধ্যে ইরানের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেশগুলোর সরকার প্রধানরা। শুধু তাই নয় মুসলিম পরাশক্তি তুরস্ক ও পাকিস্তানও অবস্থান নিয়েছে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েলের বিপক্ষে। ঘোষণা দিয়েছে ইরানের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার। এছাড়া কাতারতো আগেই হুংকার দিয়ে রেখেছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। ইয়েমেন, লেবাননসহ ইরানের প্রতিবেশি সকল মুসলিম দেশগুলো অবস্থান নিয়েছে ইরানের পক্ষেই। পুরো বিশ্ব যেনো এখন দুভাগে বিভক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ইরানের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন, লেবানন ও ফিলিস্তিনের হামস যোদ্ধারা। এসব যেনো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখনই যদি ইসরায়েল-ইরানকে থামানো না যায় তবে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আর বাকি নেই। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী নেতানিয়াহুর পক্ষ নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন ফিলিস্তিনের অসহায় নিরীহ মুসলমানদের গণহত্যার প্রাক্কালে ইসরায়েলের বিপক্ষে তার ভূমিকা নিয়ে। গাজায় এখনো যে নির্মমতা দেখাচ্ছে ইসরায়েল, এরপরও কেন চুপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন প্রশ্নও রাখছেন অনেকে। কিন্তু কে শোনে কার কথা, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ট্রাম্প যে অবস্থান নিয়েছেন ইসরায়েলের পক্ষেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকা ইরানে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে সরাসরি হামলা চালালে তা হবে আগুনে ঘি ঢালার মতো। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো তখন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে একে অপরের বিরুদ্ধে। |